light mode
night mode
গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
গৃহ ব্যবস্থাপনা গৃহ ব্যবস্থাপনার ধারণা লক্ষ্য ও লক্ষ্যের প্রকারভেদ গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য গৃহ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি বা পর্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ গৃহ ব্যবস্থাপক গৃহ ব্যবস্থাপকের গুণাবলি - গৃহ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব ও কর্তব্য গৃহ ব্যবস্থাপকের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য গৃহসম্পদ সম্পদ ও সম্পদের বৈশিষ্ট্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা – সম্পদের শ্রেণিবিভাগ গৃহসম্পদের ব্যবস্থাপনা অর্থ ব্যবস্থাপনা- বাজেট, বাজেটের প্রয়োজনীয়তা ও বাজেটের খাত বাজেট তৈরির নিয়ম সময় ও শক্তির ব্যবস্থাপনা-সময় তালিকার প্রয়োজনীয়তা ও বিবেচ্য বিষয় দৈনিক সময় তালিকা প্রস্তুত শক্তি ব্যবস্থাপনা গৃহের অভ্যন্তরীণ সজ্জা আসবাব নির্বাচন আসবাব বিন্যাস বিভিন্ন কক্ষে আসবাব বিন্যাস গৃহের নান্দনিকতা বৃদ্ধি গৃহে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সংরক্ষণ অভ্যন্তরীণ গৃহসজ্জায় অব্যবহৃত জিনিসের ব্যবহার শিশুর বর্ধন ও বিকাশ বর্ধন ও বিকাশের ধারণা বিকাশের স্তর বিকাশমূলক কার্যক্রম শিশুর বিকাশে বংশগতি ও পরিবেশ শিশুর বিকাশ ও পারিবারিক পরিবেশ মা- বাবার সাথে শিশুর বন্ধন শিশুর বিকাশে পারিবারিক সম্পর্কের গুরুত্ব শিশু পরিচালনার নীতি কৈশোরের মনোসামাজিক সমস্যা-প্রতিকার ও প্রতিরোধ কৈশোরকালীন মনোসামাজিক সমস্যা প্রতিকার-প্রতিরোধ হতাশা ও বিষণ্ণতা মানসিক চাপ প্রতিবন্ধী শিশু প্রতিবন্ধী শিশু - প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ও শ্রবন প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ এবং প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ খাদ্যের কাজ ও উপাদান খাদ্যের কাজ খাদ্যের উপাদান— প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট লিপিড বা ফ্যাট ও ভিটামিন ভিটামিন ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ ভিটামিন 'ই' ও‘কে’ ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স – বি১ ও বি২ ভিটামিন সি খনিজ লবণ-ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস লৌহ ও আয়োডিন পানি খাদ্যের পরিপাক ও খাদ্য পরিকল্পনা খাদ্যের পরিপাক কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন পরিপাক কিশোর-কিশোরীর খাদ্য পরিকল্পনা নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন ডায়াবেটিস হৃদরোগ উচ্চরক্তচাপ খাদ্য প্রস্তুত ও পরিবেশন মেনু তৈরি রেসিপির প্রয়োজনীয়তা খাদ্য প্রস্তুত খাদ্য পরিবেশন বু–ফে পরিবেশন প্যাকেট পরিবেশন বয়ন তন্তু বস্ত্র তৈরির উপযোগী তন্তু তন্তুর শ্রেণিবিভাগ বিভিন্ন তন্তুর ব্যবহার তন্তু শনাক্তকরণ - পোশাকের শিল্প উপাদান ও শিল্পনীতি পোশাকের শিল্প উপাদান পোশাকে রঙের ভূমিকা পোশাকে আকৃতির প্রভাব- পোশাকে শিল্পনীতি বস্ত্র ছাপা ও রংকরণ বস্ত্র ছাপা ব্লক ছাপা ড্রাফটিং শিশুদের পোশাক – ফতুয়ার ড্রাফটিং বেবি ফ্রকের ড্রাফটিং পোশাকের যত্ন ও পারিপাট্য বস্ত্র ধৌতকরণ বস্ত্র ধৌতকরণের পূর্ব প্রস্তুতি রেশমি বস্ত্র ধৌতকরণ শুষ্ক ধৌতকরণ সংরক্ষণ পারিপাট্যতা ও দৈহিক পরিচ্ছন্নতা পোশাকের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ অপ্রয়োজনীয় বস্ত্রের ব্যবহার

শুষ্ক ধৌতকরণ

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - গার্হস্থ্য বিজ্ঞান - পোশাকের যত্ন ও পারিপাট্য | | NCTB BOOK

পানি ব্যবহার না করে বিশেষ ধরনের কিছু রাসায়নিক পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করে কাপড় পরিষ্কার করাকেই শুষ্ক ধৌতকরণ বলা হয়। কিছু কিছু রেশমি ও পশমি কাপড় সাবান পানিতে ধুলে সংকুচিত হয় কিংবা রং চটে যাবার আশঙ্কা থাকে। এই পদ্ধতিতে কাপড় ধোয়া হলে কাপড়ের আকার আকৃতি ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে ।

ব্যবহৃত উপকরণ : শুষ্ক ধোলাইয়ের জন্য অনেক প্রকার রাসায়নিক দ্রাবক ব্যবহৃত হয়। এসব তরল পদার্থ সম্পূর্ণ পানিশূন্য থাকে। আর তাতে কিছুটা পানি থাকলেও তা তুলা বা কোনো প্রকার শোষক দিয়ে পানিশূন্য করা হয়। কেননা এ জাতীয় তরলে পানি থাকলে তা দিয়ে কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করা যায় না ।

উপকরণের যে সব বিশেষত্ব থাকা প্রয়োজন তা হলো—

  • শুষ্ক ধোলাইয়ে ব্যবহৃত তরলের কারণে যেন বস্ত্রে গন্ধ তৈরি না হয় ।
  • কিছু তরল আছে যা বেশি উদ্বায়ী-বাতাসে সহজে উড়ে যায় এবং এর ফলে ধোলাইয়ে বেশি খরচ হয়। আবার কিছু তরল পদার্থ আছে কম উদ্বায়ী-এতে কাপড় দেরিতে শুকায়। সে কারণে মাঝামাঝি উদ্বায়ী তরলই শুষ্ক ধোলাইয়ের জন্য উত্তম। তবে দুই বা ততোধিক তরলের মিশ্রিত দ্রাবকে শুষ্ক ধোলাই ভালো হয় ৷
  • শুষ্ক ধৌতিতে ব্যবহৃত পরিষ্কারক দ্রব্যাদি বা তরল পদার্থের মধ্যে পেট্রলিয়াম ইথার, টারপেনটাইন কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, বেনজল, বেনজিন ও পেট্রল উল্লেখযোগ্য। এসব কয়টি পরিষ্কারক দ্রব্যের মধ্যে পেট্রলই বেশি ব্যবহৃত হয়। কারণ পেট্রল অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সহজলভ্য।

ধোয়ার নিয়ম : শুষ্ক ধৌতকরণের বিভিন্ন ধাপগুলো নিম্নরূপ:

  • প্রথমে কাপড় থেকে আলগা ময়লা ঝেড়ে ফেলতে হয়।
  • পরিষ্কারক তরল পদার্থটিকে পানিশূন্য করে নিতে হয় ।
  • পরপর চারটি পাত্রে ওই পানিশূন্য তরল পদার্থ ঢেলে নিতে হয় ৷

প্রথম পাত্রের তরলে কিছুটা বেনজিন সাবান বা লিসাপল জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য মেশালে ভালো হয়। কাপড়টি প্রথম পাত্রের তরলে ডুবিয়ে রগড়িয়ে তুলতে হয়।

  • তারপর কাপড়টি হাতে চেপে যথাসম্ভব তরল পদার্থ বের করে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পাত্রের তরলে ধুয়ে নিতে হয়। চতুর্থ পাত্রের তরলে কিছুটা ভিনিগার মিশিয়ে নেওয়া উত্তম ।
  • এভাবে ধোয়ার পর কাপড়টি ছায়ায় শুকাতে হয়। শুকানোর সময় কাপড়টির মূল আকার সংরক্ষণের জন্য মাঝে মাঝে টেনে পূর্বাকারে এনে নিতে হয়। এতে কাপড়ের আকার সংকুচিত হয় না।
  • কাপড়টি এভাবে শুকানোর পর এর উপর ভেজা কাপড় বিছিয়ে ইস্ত্রি করে নিতে হয় ৷ শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতিতে কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। যেমন-কাপড় ধোয়ার স্থানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা দরকার-
  • কাপড় ধোয়ার স্থানে বা কাছাকাছি স্থানে যেন আগুন না থাকে
  • কাপড় ধোয়ার তরল যেন মেঝেতে না পড়ে। এভাবে রেশমি ও পশমি বস্ত্র শুষ্ক উপায়ে বাড়িতেও ধোয়া যায় ৷

নাইলন, পলিয়েষ্টার ইত্যাদি কৃত্রিম তন্তুর কাপড় ধোয়ার পদ্ধতি : এসব সিনথেটিক তন্তুর বাদি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সহজে নষ্ট হয় না। বেশি ময়লা বস্ত্রাদি ঈষদুষ্ণ সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলে সহজে পরিষ্কার হয়। ভালো সাবানের গুঁড়া, বার ব্যবহার করা যায়। ধোয়ার সময় কখনো মোচড়াতে হয় না। আস্তে থুপে থুপে ধুতে হয়। পরিষ্কার পানি একাধিকবার ব্যবহার করে ময়লা ও সাবান দূর করতে হয়। তারপর ছায়াযুক্ত স্থানে দড়িতে টানিয়ে শুকাতে হয়। এই তন্তুর বস্ত্রগুলি ধৌতকরণের ফলে তেমন কুঞ্চন পড়ে না বলে ইস্ত্রি না করলেও চলে।

কাজ - বস্ত্র ধৌতকরণের পূর্ব প্রস্তুতি বর্ণনা কর।

 

Content added By
Barsha

Read more

শুষ্ক ধৌতকরণ

or

Don't have an account? Register

Promotion